নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ টিউশন রোডস্থ পাঁকা রাস্তার উপর পরিবহনে চাঁদাবাজি করার সময় চাঁদাবাজ মোঃ সুমনকে (৩৪) হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজির রশিদ ও চাঁদাবাজির নগদ ১৫ শ টাকা উদ্ধার করা হয়। শনিবার ৩০ নভেম্বর রাতে র্যাব-১১, সিপিএসসি এর বিশেষ অভিযানে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, উপস্থিত স্বাক্ষী, পরিবহন শ্রমিক ও গ্রেফতারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটোরিক্সা চালকদের কাছ থেকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক গাড়ী প্রতি ১শ থেকে ৩শ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। কোন বাস, ট্রাক, সিএনজি ও অটোরিক্সা চালক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারধরসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত মোঃ সুমন উক্ত চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, হাজী মোঃ গোলাম হোসেন নামক স্থানীয় ব্যক্তি মে ২০১৯ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে নবীগঞ্জ বেবী/টেম্পু স্ট্যান্ড এর ইজারা নেয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ইজারার তালিকায় নবীগঞ্জ স্ট্যান্ডটি মূলত বেবী/টেম্পু স্ট্যান্ড হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উক্ত ইজারায় ১২ নং শর্তে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে বেবী/টেম্পু/টেক্সী পার্কিং ফি দৈনিক ১৫ টাকা। কিন্তু উক্ত চাঁদাবাজ চক্র সিটি কর্পোরেশনের ইজারার অপব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে ভুয়া রসিদ ছাপিয়ে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। এভাবে এই চাঁদাবাজ চক্র এই ইজারাদারের ছত্রছায়ায় রাস্তায় চলাচলরত বাস, ট্রাক, মাইক্রো ও কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে জোরপূর্বক ভয়ভীতি এমনকি মারধর করে ১শ টাকা থেকে ৩শ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে আসছে যা স্থানীয় মিডিয়ায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। র্যাব-১১, সিপিএসসি এর অনুসন্ধানে চাঁদাবাজি সংক্রান্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য গত ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়কালে উপরোক্ত চাঁদাবাজ মোঃ সুমনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।